ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীকে ২০১৯ সালের মানহানির মামলায় জামিন দিয়েছে গুজরাটের আদালত।
সোমবার (৩ এপ্রিল) একই সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুলের করা আপিলের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দুই বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল তার আপিলের সুরাহা করবে গুজরাটের একটি আদালত।
বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা এবং তিনজন মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতার সঙ্গে আপিলের আবেদন নিয়ে সুরাটের দায়রা আদালতে গিয়েছিলেন রাহুল।
কংগ্রেসের সাবেক এই সভাপতিকে পরবর্তী শুনানির জন্য আদালতে হাজির হতে হবে না।
রাহুল দোষী সাব্যস্ত না হলে এমপি হিসেবে তার সদস্যপদ ফিরে পাবেন এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আর কোনো বাধা থাকবে না বলে জানা গেছে।
রাহুল কংগ্রেস নেতাদের একটি বড় দল নিয়ে সুরাটে উড়ে যান। তার সঙ্গে গিয়েছিলেন কংগ্রেস শাসিত তিনটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু।
আদালতে হাজিরার আগে তিনি তার মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন।
এদিকে ভারতের আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইটবার্তায় বলেছেন, রাহুল গান্ধী একটি আপিল দায়ের করতে সুরাটে যেতে পারেন। আপিল করার জন্য একজন দোষীর ব্যক্তিগতভাবে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত, কোনো দোষী ব্যক্তিগতভাবে যায় না। সহযোগীদের বিচিত্র দলের সঙ্গে রাহুলের আদালতে যাওয়া শুধু একটি নাটক।
তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধী যা করছেন তাও আপিল আদালতে চাপ প্রয়োগ করার একটি শিশুসুলভ প্রয়াস। দেশের সমস্ত আদালত এই ধরনের চাপ থেকে মুক্ত।
অন্যদিকে কংগ্রেস জানিয়েছে, সুরাটে কংগ্রেস নেতাদের উপস্থিতি শক্তি প্রদর্শন নয়, বরং রাহুলের প্রতি সমর্থনের প্রতীক।
কংগ্রেসপ্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, এটি শক্তি প্রদর্শন নয়। তিনি দেশের জন্য লড়াই করছেন। তার লড়াইয়ে তাকে সমর্থন করার জন্য তারা তার সঙ্গে যাচ্ছেন।
দলের নেতাকর্মীদের সুরাটে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য ‘অবৈধ গ্রেপ্তার’ করা হচ্ছে বলেও দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ হিন্দিতে টুইটবার্তায় লিখেছেন, কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের সুরাটে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য গুজরাটে বিজেপি সরকার কর্তৃক বেআইনি গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়ক এবং গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন।
সূত্র- এনডিটিভি