নাটোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী গোলাম কিবরিয়া সেলিম ওরফে কুত্তা সেলিমকে আটক করেছে পুলিশ। গোলাম কিবরিয়া সেলিম ওরফে কুত্তা সেলিম শহরবাসীর কাছে একটি আতঙ্কের নাম।
শনিবার (২৫ মার্চ) ভোরে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সেলিম শহরের চৌধুরী বড়গাছা পাঁচপাড়া এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদ ড্রাইভারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় চাঁদাবাজি, হামলা, ভাঙচুর এবং নাশকতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সেলিম আটকের খবরে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও স্বনির্ভর নাটোর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (ইউসিসিএ) এর ব্যবস্থাপনা কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে আটক করা হয়।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহম্মেদ জানান, সেলিমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, নাশকতা, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় শনিবার ভোরে আটকের পর আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, গত বুধবার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ ডলার নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকালে ইউসিসিএ নির্বাচনে বিজয়ের পর বিজয় মিছিল বের করলে এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের বড় ভাই তার প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম শরীফের অনুসারীরা তাদের উপরে হামলা করে মারপিট করে ও দুটি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে দেয়।
মামলায় এমপির অনুসারী গোলাম কিবরিয়া সেলিম ওরফে কুত্তা সেলিম ও সবুজ, সোহান ও সজিবসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এ দিকে ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের বিজয় মিছিলে হামলার পর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় এমপি শিমুলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন।
সন্ত্রাসীদের আটকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়। অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় এমপি শিমুলের অনুসারী গোলাম কিবরিয়া সেলিমের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসতিয়াক আহমেদ ডলার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের এমপি শিমুল বিরোধী ২১জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫০জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।