সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য জাহেদ সুলতান চৌধুরী রবিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার সময় গোপান সংবাদের ভিক্তিতে উপজেলার ছোট দারোগারহাটস্থ লালানগর এলাকায় ফুফা ইসমাইল হোসেনের বাড়ীতে পালিয়ে থাকাবস্থায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই ও ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাজিব হোসেন রবিনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগের দিন শনিবার রাত ১০টার সময় ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে তাদের কর্মস্থল সানমুন টেক্সটাইল গার্মেন্টসে যাওয়ার পথে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডস্থ কদমরসুল কেশবপুর তিন রাস্তার মোড়ে রবিন মেম্বার তার অফিসের সামনে তাদের গতিরোধ করে।
তার অফিসে ধরে নিয়ে স্বামীকে জিম্মি করে তার সামনে স্ত্রীকে কয়েকজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ওই নারীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং দুইটি মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে তার স্বামী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানালে খবর পেয়ে এসআই মোঃ হারুন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে ধৃত ইউপি সদস্য জাহেদ সুলতান চৌধুরী রবিন পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভিকটিমের স্বামী মামলা দায়েরের পর আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান চালানো হয়। রাত তিনটার সময় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আজ সোমবার সকালে ধৃত আসামী জাহেদ সুলতান চৌধুরী প্রকাশ রবিন মেম্বারকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্য রবিন একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন, মদ পান করে মসজিদের মুসল্লীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রবিন ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করার সময় নগরীর সরাইপাড়া থেকে পাহাড়তলী থানা পুলিশ তাকে একবার গ্রেপ্তার করেছিল।