অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে গত শনিবার ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এদিন ফ্রান্স জুড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।
রাজধানী প্যারিস ছাড়াও মার্সাই, লিও, লিল, তুলুজ, নিস্, রেন, বোকদো, নানসহ ফ্রান্সের সব বড় শহরগুলোতে একযোগে আন্দোলন হয়েছে। খোদ রাজধানী প্যারিসেই ছিল প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের উপস্থিতি, যা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় এক লাখ বেশি।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই হাজার হাজার আন্দোলনকারী মিছিল নিয়ে রাজধানী প্যারিসের ঐতিহাসিক প্লাস -দু-লা রিপাবলিকে জড়ো হতে থাকে এবং দুপুর পর্যন্ত পুরো রিপাবলিক এলাকা কানায় কানায় ভরে যায়। পরে রিপাবলিক থেকে মিছিল নিয়ে প্লাস -দু-লা নেশন এসে শেষ করে। এসময় প্রায় চার কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়।
আন্দোলনকারীরা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করে। এসময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করে পুলিশ।
তাছাড়া বুলভার্ড এলাকা থেকে অস্ত্রসহ একজনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এদিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং বিগত দিনের তুলনায় এদিন গণপরিবহন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। তবে বাতিল করা হয়েছে প্রায় অর্ধেক ফ্লাইট।
আন্দোলনকারী শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়ন সিজিটি’ এর প্রধান ফিলিপ মার্টিনেজ বলেছেন, বল এখন সরকারের কোর্টে, সরকার যদি তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তাহলে ৭ মার্চ থেকে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এ্যালিজাবেথ বরন্ জাতীয় সংসদে অবসরের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ বছর করার প্রস্তাব উত্থাপন করার পরিপ্রেক্ষিতে ফ্রান্সের বৃহৎ শ্রমিক ইউনিয়নগুলো একযোগে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে এই আন্দোলন করে আসছে।