কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের এক আবাসিক হোটেল থেকে মো. মহিউদ্দিন (১৮) নামে তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে পুলিশ হোটেলের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে চকরিয়া পুলিশ।
মহিউদ্দিন রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার পেয়ার মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ ও নিহত মহিউদ্দিনের পরিবারের লোকজন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা এলাকায় সিটি পার্ক নামের একটি হোটেলে ওঠেন মহিউদ্দিন। শনিবার দুপুরে রুম ছেড়ে দেয়ার কথা তার। বিকেল হলেও রুম না ছাড়ায় ও ভেতর থেকে সাড়া-শব্দ না পাওয়ায় পুলিশে খবর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ রুমের দরজা ভেঙে দেখতে পায়, মহিউদ্দিনের মরদেহ খাটের ওপর পড়ে আছে।
মহিউদ্দিনের বড় বোন শাহজাদা বেগম জানান, মহিউদ্দিন বাসের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। কাজের সূত্রে চট্টগ্রাম শহরে পরিবার নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন তিনি। কয়েকদিন আগে তার দুই বন্ধু চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মোজাহেরপাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও আব্দুল করিমের কাছ থেকে পাওনা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করতে মহিউদ্দিন চকরিয়ায় যান।
বৃহস্পতিবার রাতেই মহিউদ্দিন ফোন করে জানান, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে শুক্রবার চকরিয়া থানায় অপহরণের লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার ভোর চারটায় ইসমাইল ও আব্দুল করিমকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু শনিবার বিকেলে হোটেল কক্ষের ভেতরে মহিউদ্দিনের মরদেহ পাওয়া যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মরদেহের সঙ্গে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেই চিরকুটটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে তার নাকে-মুখে ফেনা দেখা গেছে। সাথে কীটনাশকের গন্ধও আছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।