চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকায় জেবি কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি নকল প্রসাধানী তৈরির কারখানার ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে ওই কারখানাকে ৪ লাখ টাকা অর্থদন্ড ও ৫ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ প্রসাধনী সামগ্রী ধ্বংস করা হয়েছে।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বায়েজিদ এলাকার শাহ হাবিবুল্লাহ রোডের ওই কারখানায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
তিনি বলেন, জেবি কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি ভুয়া ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অনুমোদনহীন সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, গ্লিসারিন, ফেসওয়াস, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ব্রেস্ট ক্রিম, ব্যথ্যানাশক ক্রিমসহ বিভিন্ন ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাবানে অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
প্রচণ্ড নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে এ সকল পণ্য তৈরির দায়ে ফ্যাক্টরির ম্যানেজার মো. খায়রুজ্জামান রাজুকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই কারাখানাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ফ্যাক্টরিতে আটক ৩ জন শ্রমিককে বয়স বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।
তিনি আরও বলেন, কারও বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার বা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেবার ক্ষমতা মোবাইল কোর্টের নেই। আমরা যাকে হাতেনাতে আটক করেছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেহেতু মালিককে এখানে পাওয়া যায়নি সেহেতু মালিকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানা পুলিশ নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নেবে।
অভিযানের বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভেজালবিরোধী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রিয়াজউদ্দীন বাজারসহ অন্যান্য যেসকল বাজারে এগুলো বিক্রি হয় সেসকল জায়গায় আমরা অভিযান চালাব।