চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঝরাতে ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের সামনে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি, সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ বাঁধে।
পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে জড়ানো তিনটি গ্রুপ হলো- সিক্সটি নাইন, চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মূলত দুইটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর ও আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। এ দুটি পক্ষের আবার ১১টি উপগ্রুপ রয়েছে।
এর মধ্যে বিবাদমান বিজয় ও সিএফসি মহিবুল হাসানের ও সিক্সটি নাইনসহ বাকি নয়টি নাছিরের অনুসারী হিসাবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
জানা যায়, রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের একটি চায়ের দোকানে বসে ধূমপান করছিলেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের এক কর্মী। সেখানে পাশের একটি টেবিলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বিজয় ও সিএফসির তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন কর্মী। এক পর্যায়ে ধূমপানের ধোঁয়া ছড়ালে সিএফসির এক কর্মী প্রতিবাদ করেন।
ধূমপানকারীর শিক্ষাবর্ষ জানতে চান তিনি। পরে সিক্সটি নাইনের ওই কর্মী নিজেকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে সিএফসির কর্মী তাঁর ওপর চড়াও হন। জুনিয়র হয়ে কেন এভাবে প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন এসব নিয়ে তর্কাতর্কিতে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে স্টেশন এলাকায় এসে বিজয় ও সিএফসির দুই কর্মীকে মারধর করে। এরপর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। রাত সাড়ে ১১টার পর সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল, সিএফসির নেতাকর্মীরা শাহ আমানত ও বিজয়ের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল থেকে লাঠিসোঁটা ও রামদা নিয়ে বের হয়। একদিকে সিক্সটি নাইন ও আরেকদিকে বিজয় ও সিএফসি অবস্থান নেয়। এরপর উভয়ের মধ্যেই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল, কাচের বোতল নিক্ষেপ চলতে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে পাঁচজন চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহীদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনের মতো আহত হয়েছে জেনেছি। সংঘর্ষের সূত্রপাতের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। দোষীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।